বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাছ একটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীজ আমিষ উপাদান । মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এর অবস্থান চতুর্থ । বর্তমানে বাংলাদেশে ২৬০ এর অধিক প্রজাতির মাছ পাওয়া
যায় । অতীত থেকে আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী নামে পরিচিত। বর্তমানে বাংলাদেশে
মাছ চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে । অন্যান্য প্রাণীজ আমিষের চেয়ে মাছ অনেক বেশি পুষ্টিকর একটি খাদ্য
। মাছে অল্প পরিমাণে ফ্যাট এবং
পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড , ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ,
ভিটামিন
সি , ভিটামিন বি -১২, ভিটামিন বি- ৬ , ম্যাগনেসিয়াম ,আয়রন,
ক্যালসিয়াম
ইত্যাদি পাওয়া যায় । তাই মাছ বিষয়ে জানতে
হলে মাছের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ । মাছের দেহ মূলত মাথা, লেজ, দেহ নিয়ে গঠিত । মাছের পুরো দেহ স্কেল দিয়ে আবৃত থাকে যা
মাছকে প্রাথমিক নিরাপত্তা দেয় । মাছের মাথাও এপিডারমিস এবং স্কেল দিয়ে আবৃত থাকে ।
মাছের দেহের মাঝামাঝি বরাবর সাধারণত একটি দাগ থাকে যা লেটারাল লাইন নামে পরিচিত । উপরের
চোয়াল খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । মাছের ট্রাঙ্ক বা
স্নাউট শুঁড় বা নাক নামে পরিচিত । মাছের ফুলকা যা গিল নামে পরিচিত। মাছের বিভিন্নও
রকমের গিল রয়েছে গিল ফিলামেন্ট , গিল আর্চ , গিল রেকার , গিল ল্যামেলি । গিল গ্যাস বিনিময়ের সময় সহায়তা করে এবং পানি
হতে অক্সিজেন গ্রহন করে । ইসোফাগাস মাস্কুলার টিউব এর সাথে পেট এর সাথে যুক্ত থাকে
যা খাদ্য বহন করে । অন্যান্য প্রাণীর
চেয়ে মাছের শ্বসন পদ্ধতি একটু আলাদা। মাছ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় । মাছের দেহে বিভিন্ন ধরনের ফিন আছে যেমন ডরসাল ফিন,এনাল ফিন,কর্ডাল
ফিন, পেকটোরাল ফিন, পেলভিক ফিন । লেজ নামে
যা আমরা জানি তা আসলে কডাল ফিন নামে পরিচিত। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার
জন্য মাছ কডাল ফিন ব্যবহার করে। এনাল ফিন মাছের সাঁতারের গতি নিয়ন্ত্রণ করে । মাছের দুই
রকমের ডরসাল ফিন আছে যথাক্রমে স্পাইনি বা কাঁটাযুক্ত
ডরসাল ফিন এবং সফট বা কোমল ডরসাল ফিন যা কডাল ফিনের কাছাকাছি অবস্থিত । ডরসাল ফিন
মাছকে বিভিন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করে তার পাশাপাশি আকস্মিক গতি নিয়ন্ত্রণ বা গতি
থামানোর জন্য ব্যবহার করে। পেকটোরাল ফিনের নিচে পেলভিক ফিন এর অবস্থান যা পানির
উপরে যেতে বা নীচে নামতে সাহায্য করে, নিখুঁতভাবে বাঁক নেয়ার জন্য , দ্রুত গতি
নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারনত মাছের বায়ুথলির নিচে অন্ত্র , পাকস্থলী , যকৃত, গোনাড বা ডিম্বাশয় থাকে । সাধারনত মাছের মাথায় অপটিক নার্ভ ,
মস্তিস্ক থাকে। সাধারনত মাছের ফুলকার একটু উপরে হেড কিডনি এবং ফুলকার একটু নীচে ইসোফাগাস ,
ইট্রিয়াম , ভ্যানট্রিকল , কনাস আর্টেরিয়াস এর অবস্থান । সাধারনত
মাছের মুখের উপরে অলফ্যাক্টরি ট্র্যাক্ট এবং বাল্ব থাকে । হৃদপিণ্ড রক্তসঞ্চালনে
সহায়তা করে । মাছের দেহে দুই রকমের অন্ত্র আছে যা ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদান্ত নামে
পরিচিত । ক্ষুদ্রান্ত খাদ্য পরিশোষণ এবং পরিপাকে সহায়তা করে । বৃহদান্ত বর্জ্য
নিষ্কাশনের পূর্বে বর্জ্য ধারণ করে । মাছের শরীরের শেষ প্রান্তে এনাস বা মলদ্বার থাকে
যা দেহের অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয় ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Download NTRCA Viva Exam Admit card
Download link : http://ntrca.teletalk.com.bd/admitcard/ 13th NTRCA Viva Exam Admit card
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjT_sR7Y0knBJ3ERCOu221pVUUGtblGBRXkS4pc8FEPBByvjsGbjrkpuxtQhvq8HIR2Jk5yroVZzhXxWHh2zj7lnIZr7ne6Ctz0f5cuFhitj_XCN29oNs6WmVZycYdxijQksrGMiLh_zA0/s320/ntrca-result-logo.jpg)
-
1) She likes to fantasize about winning the red crescent lottery. 2) The minister arrived at a decision last night. 3) Can you put m...
-
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাছ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীজ আমিষ উপাদান । মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এর অবস্থান চতুর্থ । বর্তমান...
No comments:
Post a Comment